Hair Colours: বিভিন্ন ধরনের হেয়ার কালার সম্পর্কে জানুন

Hair Colours পরিবর্তনের সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ৩২৩ মিলিয়ন। এই প্রজন্ম এই পরিবর্তনকে উৎসাহী করে। আমাদের চুলের রঙ আমাদের ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে।

এখন হাল ফ্যাশানের যুগে চুলের রঙ করা হয়। কিন্তু ত্বকের রঙ আর চুলের রঙ যদি সম্পূর্ণ বেমানান হয়, তা হলে লুকটা অস্বাভাবিক দেখায়।

চুলের রঙ এখন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। স্কিন টোন অনুযায়ী উপযোগী হেয়ার কালার নিন।

Table of Contents

মুখ্য বিষয়গুলি

  • মেলানিন এর অবস্থান আমাদের ত্বক, চুল আর চোখের মণির রঙ নির্ধারণ করে
  • ত্বকের রঙ অনুযায়ী চুলের রঙ নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ
  • চুলের রঙ নির্বাচনে ট্রেন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পরামর্শ
  • ব্লিচিংয়ের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করতে হবে
  • কৃত্রিম চুলের রঙ পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তা

চুলের রঙ নির্বাচনের গুরুত্ব

চুলের রঙ নির্বাচন করার সময় আপনার চুলের ধরন এবং ত্বকের রঙ দেখুন। কালো চুল সূক্ষ্ম থেকে মোটা পর্যন্ত হতে পারে। ত্বকের রঙ উষ্ণ, শীতল বা নিরপেক্ষ হতে পারে।

ত্বকের রঙ আপনাকে সবচেয়ে ভালো দেখাবে তা দেখুন।

ত্বকের রঙের সাথে মানানসই হেয়ার কালার

উষ্ণ ত্বকের লোকদের জন্য গোল্ডেন ব্লোন্ড ভালো লাগে। রাসবেরি বা আভাসী লাল রংগুলি ভালো কাজ করে।

শীতল ত্বকের লোকরা হেল্মেট গ্রে পছন্দ করে। অ্যাশ-ব্লোন্ড শেডগুলি ভালো দেখায়।

নিরপেক্ষ ত্বকের লোকরা বিভিন্ন রঙের মধ্যে পছন্দ করতে পারে। যেমন কষ্টার ব্রাউন, শ্যামবর্ণ বা চকলেট ব্রাউন।

চুলের ধরন ও চেহারা অনুযায়ী রঙের পছন্দ

চুলের ধরন এবং চেহারার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রঙ পছন্দ করা গুরুত্বপূর্ণ। সূক্ষ্ম চুলের মালিকরা হালকা বা মাঝারি রঙ পছন্দ করে।

মোটা চুলের মালিকরা গোল্ডেন ব্রাউন পছন্দ করে। শ্যামবর্ণ বা টচ্ড অ্যাশ শেডগুলি সুন্দর দেখায়।

কোঁকড়ানো বা তরঙ্গায়িত চুলের মালিকরা টিকটক ব্রাউন পছন্দ করে। রোমান্টিক কষ্টার বা মেরিডিয়ান কপার শেডগুলি ভালো দেখায়।

“একমাত্র আপনার স্বাভাবিক চুলের ধরণ এবং ত্বকের টোন বুঝে আপনার রঙের পছন্দ করাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।”

চুলের ধরন ও ত্বকের টোন বিবেচনা

চুলের ধরন সূক্ষ্ম, মোটা, কোঁকড়ানো বা সোজা হতে পারে। এই ধরনগুলি আপনার চুলের রঙ এবং গঠন প্রভাবিত করে। এটা আপনার চুল কতটা ভালো দেখায় তা নির্ধারণ করে।

সূক্ষ্ম, মোটা, কোঁকড়ানো বা সোজা চুল

  • সূক্ষ্ম চুল সূক্ষ্ম এবং ভাঙ্গার প্রবণতা বেশি। এই ধরনের চুল উপকৃত হয় যা আয়তন এবং গঠন দেয়। যেমন হাইলাইট বা বালায়েজ রঙ দেখায়।
  • মোটা চুল ঘন এবং শক্তিশালী। এটি আরও তীব্র চুলের রং সহ্য করতে পারে।
  • কোঁকড়ানো বা সোজা চুল আলাদা নির্দিষ্ট প্রয়োজনগুলি রয়েছে। এটি আপনার চুলের গঠন সম্পর্কে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

উষ্ণ, শীতল বা নিরপেক্ষ ত্বকের টোন

ত্বকের টোন উষ্ণ, শীতল বা নিরপেক্ষ হতে পারে। চুলের ধরন এবং ত্বকের টোন কোন চুলের রঙ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো দেখাবে তা প্রভাবিত করে।

“চুলের ধরন এবং ত্বকের রঙ এই দুটি বৈশিষ্ট্য একসাথে কাজ করে চুলের রঙ নির্বাচন করার সময় আপনাকে সহায়তা করতে পারে।”

প্রচলিত হেয়ার কালার শেডগুলি

বাজারে অনেক চুলের রঙের পণ্য পাওয়া যায়। এতে আপনার চুলের ধরন, ত্বক এবং পছন্দ অনুযায়ী সঠিক হেয়ার কালার বেছে নেওয়া কঠিন হতে পারে। প্রধান হেয়ার কালার শেডগুলি হল – বাদামি, বার্গান্ডি, অবার্ন। এছাড়াও লাল, ওয়ালনাট ব্রাউন এবং অন্যান্য রঙ পাওয়া যায়।

আপনার চুলের ধরন ও ত্বকের টোন অনুযায়ী এই রঙগুলির মধ্যে থেকে সঠিকটি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বাদামি, বার্গান্ডি, অবার্ন শেড

বাদামি শেডটি একটি অত্যন্ত প্রকৃতিগত এবং সহজ লুকটি। এটি বিভিন্ন ত্বকের টোনে অনেক ভালো লাগে। বার্গান্ডি শেড একটি গাঢ় এবং গম্ভীর রঙ। এটি অনেক ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে।

অবার্ন শেড হল একটি গোলাপী বাদামি রঙের মিশ্রণ। এটি গ্ল্যামারাস এবং আকর্ষণীয় মনে হয়।

লাল, ওয়ালনাট ব্রাউন ও অন্যান্য রঙ

লাল একটি জীবন্ত এবং আকর্ষণীয় রঙ। এটি কোঁকড়ানো চুলে ভালো লাগে। ওয়ালনাট ব্রাউন এক্সক্লুসিভ এবং সৃজনশীল রঙ। এটি বিভিন্ন আচরণ প্রকাশ করে।

এছাড়াও চুলের জন্য বিভিন্ন রঙ যেমন – গোলাপী, বাজে, ধূসর, বেগুনি প্রভৃতি পছন্দ করা যেতে পারে।

রঙবর্ণনাসুবিধা
বাদামিঅত্যন্ত প্রকৃতিগত এবং সহজ লুকবিভিন্ন ত্বকের টোনে ভালো লাগে
বার্গান্ডিগাঢ় এবং গম্ভীর রঙব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে
অবার্নগোলাপী বাদামি রঙের মিশ্রণগ্ল্যামারাস এবং আকর্ষণীয়
লালজীবন্ত এবং আকর্ষণীয় রঙকোঁকড়ানো চুলে ভালো লাগে
ওয়ালনাট ব্রাউনএক্সক্লুসিভ এবং সৃজনশীল রঙবিভিন্ন আচরণ প্রকাশ করে

Hair Colours

প্রতিটি ব্যক্তির চুলের প্রকৃতি ও ব্যক্তিত্ব আলাদিন। চুলের রঙ নির্বাচন করার সময় এই দুটি দিক খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেন্ডের অনুসরণ করে চুলের রঙ করালেও সেটা সর্বদা উপযুক্ত হয় না।

আপনার চুলের প্রকৃতি এবং ব্যক্তিত্বকে সম্মান করে যে রঙ বেছে নেন, সেটাই হবে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো।

চুলের প্রকৃতি ও ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দেওয়া

চুলের রঙ নির্বাচন করার সময় আপনার চুলের প্রকৃতি এবং ব্যক্তিত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চুলের রঙ আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে, তাই যে রঙ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো মনে হয় সেটাই ঠিক হবে।

ট্রেন্ডের রঙ থেকে বিরত থাকা

একটি নির্দিষ্ট সময়ে চলমান ট্রেন্ডগুলো দেখে অনেকে চুলের রঙ করানর বিষয়ে প্রভাবিত হন। তবে ট্রেন্ডের রঙ আপনার চুলের প্রকৃতি এবং ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী উপযুক্ত না হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং প্রয়োজনের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

“চুলের রঙ আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে, তাই যে রঙ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো মনে হয় সেটাই ঠিক হবে।”

স্থায়ী হেয়ার কালার

স্থায়ী হেয়ার কালার হল একটা জনপ্রিয় বিকল্প। এটা চুলের রঙকে প্রাণবন্ত করে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়। এটা চুলের পিএইচ-এর মাত্রা সামান্য হেরফের করে।

স্থায়ী হেয়ার কালারের একটা বড় সুবিধা হল এর দীর্ঘস্থায়িত্ব। এটা চুলকে দীর্ঘসময় রঙিন রাখে।

স্থায়ী স্থায়ী হেয়ার কালার পছন্দ করা লোকেরা ১২ সপ্তাহ অন্তর চুলের রঙ টাচ আপ করার প্রয়োজন হয়। এই দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল এবং চুলের রঙের প্রাণবন্ত প্রভাব এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

প্রাণবন্ত রঙ ও দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল

স্থায়ী হেয়ার কালারের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর দীর্ঘস্থায়িত্ব। এটা চুলের রঙকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

এর ফলে চুলের রঙ পরবর্তী মাসগুলিতেও টিকে থাকে। এটা ব্যক্তির চেহারাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলে।

স্থায়ী প্রাণবন্ত রঙ এবং দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল উপলক্ষে, স্থায়ী হেয়ার কালারিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ব্যক্তিরা উপযুক্ত রঙ বেছে নিয়ে তাদের চেহারায় নতুন প্রাণ ফুটিয়ে তুলতে পারেন।

অর্ধস্থায়ী হেয়ার কালার

আপনি চাইলে চুলের রঙ পরিবর্তন করতে পারেন অর্ধস্থায়ী অর্ধস্থায়ী হেয়ার কালার দিয়ে। এই রঙ চুলের কর্টেক্সে সাময়িকভাবে প্রভাব ফেলে। এতে সামান্য রঙ পরিবর্তন এবং টাচ আপ করা সহজ হয়।

তবে, অর্ধস্থায়ী হেয়ার কালার ব্যবহারে কিছু সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে। যেমন অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং চুলের ক্ষতি। এই রঙ ব্যবহারের আগে সতর্কতা নেওয়া ভালো লাগবে।

সামান্য রঙ পরিবর্তন ও সম্ভাব্য সাইড ইফেক্ট

  • অর্ধস্থায়ী রঙ চুলের কর্টেক্সে সামান্য অস্থায়ী পরিবর্তন করে
  • সহজেই সামান্য রঙ পরিবর্তন করা এবং টাচ আপ করা যায়
  • অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি রয়েছে
  • চুলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে

সাবধানতা নেওয়া ভালো লাগবে। তাহলে আপনার চুলের স্বাস্থ্য এবং প্রাকৃতিক রঙ বজায় থাকবে।

অস্থায়ী হেয়ার কালার

অস্থায়ী হেয়ার কালার চুলে স্থায়ী প্রভাব দেখায় না। এটি কয়েক সপ্তাহ থাকে এবং পরে ধুয়ে যায়। এটি বার বার টাচ আপ করা সম্ভব। এই রঙ ব্যবহারে কোন মধ্যম বা দীর্ঘ-মেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

অস্থায়ী হেয়ার কালার চুলে পাঁচ থেকে সাত দিন থাকে। এরপর ক্রমশ ফিকে হয়ে যায়। এই রঙ আপনাকে চুল রঙিয়ে নিতে সুবিধা দেয়। আপনি নিজের চেহারা এবং ব্যক্তিত্বের অনুকূল রঙ নির্বাচন করতে পারেন।

অস্থায়ী হেয়ার কালার শাম্পু, কন্ডিশনার বা স্প্রে দিয়ে করা যায়। এটি দ্রুত ধুয়ে যায়। এই কালারের বিকল্প হল ওয়াশ বা স্প্রে-অন কালার, যা কয়েক দিন থাকে।

“অস্থায়ী হেয়ার কালার নিশ্চিত আপনার চেহারাকে আপনার পছন্দের রঙে রূপান্তরিত করতে পারে।”

অস্থায়ী রঙ পছন্দ করলে, চুলের স্বাস্থ্যে কোন ক্ষতি হবে না। এটি আপনাকে চুলের রঙ নিয়মিত পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। আমাদের মনোভাব বা পোশাক অনুযায়ী বদলে যেতে পারে।

ব্লিচিং প্রক্রিয়া

চুলের রঙ হালকা করার জন্য ব্লিচিং প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। রূপচর্চার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে চুল ব্লিচ করার আগে নতুন রঙ দেখাতে চায়।

গাঢ় চুলকে হালকা করার প্রয়োজনীয়তা

ব্লিচিং চুলের রঙকে হালকা করে। এটি গাঢ় চুলের রঙকে হালকা এবং আলোকিত করে। হালকা চুল তৈরির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

  • চুলের রঙকে আরও আলোকিত করে তোলে
  • গাঢ় চুলের রঙকে হালকা করে
  • নতুন রঙ পাতার আগে ব্লিচিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন

অনেকে সুন্দর এবং নতুন চুলের রঙের জন্য ব্লিচিং করেন। এটি গাঢ় চুলকে হালকা রঙে রূপান্তরিত করে। এটি নতুন রঙ পাতার জন্য একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম সরবরাহ করে।

হেয়ার কালারিং এর সাইড ইফেক্ট

চুলে রং করার সময় কিছু ক্ষতি হতে পারে। অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত রঙ ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই রং করার আগে সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরী।

অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া ও চুল ক্ষতির আশঙ্কা

চুলের রং এ কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এতে চুল পড়তে শুরু করতে পারে। কালো দাগ দেখা দিতে পারে এবং গায়ে লাল ফোসকা উঠতে পারে।

অতিরিক্ত রঙ ব্যবহার করলে চুলের গোড়া বা পরিমণ্ডলের ক্ষতি হতে পারে। চুল খসে পড়তে শুরু করতে পারে।

  • চুলের রং করার আগে পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন
  • অতিরিক্ত রঙ ব্যবহার এড়িয়ে চলা
  • অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নেওয়া
হেয়ার কালারিং শেডসসম্ভাব্য সাইড ইফেক্ট
স্থায়ীঅ্যালার্জি, চুল ক্ষতি
অর্ধস্থায়ীঅ্যালার্জি, চুল ক্ষতি
অস্থায়ীঅ্যালার্জি, চুল ক্ষতি

চুলের রং করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার সালুন থেকে পরামর্শ নিয়ে, সঠিক পদ্ধতি ও পণ্য ব্যবহার করা প্রয়োজন। যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হেয়ার কালার পরবর্তী যত্ন

হেয়ার কালার করার পর চুলকে ভালো রাখতে খুব জরুরি। চুল শুকনো, ভগ্ন হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চুলকে ভালো খাওয়া দরকার।

চুল রক্ষণাব

চুলের রঙ পরিবর্তন করার পর চুল শুকনো হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চুলকে ভালো খাওয়া দরকার। রিচ কন্ডিশনার ও হেয়ার ম্যাস্ক ব্যবহার করে চুল ভালো করা যায়।

চুলের রঙ পরিবর্তন করার পর তাকে ভালো রাখার জন্য যত্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। চুল শুকনো ও ভগ্ন না হওয়ার জন্য চুলকে ভালো খাওয়া দরকার।

FAQ

কেন আমাদের ত্বক, চুল এবং চোখের রঙ পার্থক্য হয়?

মেলানিন থাকায় আমাদের ত্বক, চুল এবং চোখের রঙ ভিন্ন হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে ত্বকের রং পরিবর্তন হয়। এই মেলানিনের পরিমাণে ত্বকের রং হেরফের করে।

চুলের রঙ বেছে নেওয়ার আগে কি করবেন?

চুলের রঙ বেছে নেওয়ার আগে আপনার চুলের ধরন এবং ত্বকের টোন বুঝে নিন। এটা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা করলে আপনি কোন রঙ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো দেখাবে।

চুলের ধরনগুলো কী কী?

চুলের ধরনগুলি সূক্ষ্ম, মোটা, কোঁকড়ানো বা সোজা হতে পারে। সূক্ষ্ম চুল ভাঙ্গার প্রবণতা বেশি। তবে হাইলাইট বা বালায়েজ দ্বারা উপকৃত হতে পারে। মোটা চুল ঘন এবং শক্তিশালী। এবং তীব্র চুলের রং সহ্য করতে পারে।

ত্বকের টোন কি চুলের রঙের নির্বাচনে প্রভাব ফেলে?

হ্যাঁ, ত্বকের টোন প্রধানত উষ্ণ, শীতল বা নিরপেক্ষ হতে পারে। এবং কোন চুলের রঙ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো দেখাবে তা প্রভাবিত করে।

বাজারে কোন প্রধান হেয়ার কালার শেডগুলি পাওয়া যায়?

প্রধান হেয়ার কালার শেডগুলির মধ্যে রয়েছে বাদামি, বার্গান্ডি, অবার্ন শেড। এছাড়াও লাল, ওয়ালনাট ব্রাউন এবং অন্যান্য বিভিন্ন রঙের চুলের রঙ পাওয়া যায়।

চুলের রঙ নির্বাচনে কি করবেন?

একেকজন মানুষের চুলের প্রকৃতি এবং ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন। তাই কোন রঙ আপনার জন্য উপযুক্ত তা বুঝে নিন। ট্রেন্ডের অনুসরণ না করে, আপনার চুলের প্রকৃতি এবং ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দিয়ে রঙ বেছে নিন।

স্থায়ী হেয়ার কালারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী?

স্থায়ী হেয়ার কালারে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চুলের পিএইচ-এর মাত্রা হেরফের হতে পারে। এটা দীর্ঘস্থায়ী এবং চুলকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

অর্ধস্থায়ী হেয়ার কালারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী?

অর্ধস্থায়ী হেয়ার কালার চুলের কর্টেক্সে কোনও প্রভাব ফেলে না। এটা কয়েক সপ্তাহ থাকে এবং পরে ধুয়ে যায়। তাই প্রয়োজন হলে বার বার টাচ আপ করা যায়।

ব্লিচিং প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা কী?

চুলের রঙ হালকা করার জন্য ব্লিচিং প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। গাঢ় চুলকে হালকা করার জন্য এই প্রক্রিয়া রূপচর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হেয়ার কালারিংয়ের কোন সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবগুলি রয়েছে?

স্থায়ী, অর্ধস্থায়ী বা অস্থায়ী যে কোনও ধরনের চুলের রঙ করাতেই অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত রঙ ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।

Leave a Comment